WordPress Course Coming Soon

ওয়ার্ডপ্রেস কি?
সহজ কথায়, ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি সিএমএস (CMS) বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। আরেকটু বিশদ বলতে গেলে, ওয়ার্ডপ্রেস হল পিএইচপি ও মাইএসকিউএল ভিত্তিক একটি বিশেষ অনলাইন টুল যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আর উইকিপিডিয়ার ভাষ্য অনুসারে – ওয়ার্ডপ্রেস হল ফ্রী ও ওপেনসোর্স ব্লগিং টুল এবং একটি শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর উপর ভিত্তি করে তৈরিকৃত।
ওয়ার্ডপ্রেস আমরা কেন শিখবঃ
Why we learn WordPress?
ওয়ার্ডপ্রেস শেখার প্রধান কারণ হচ্ছে, এটা বিশ্বের এক নম্বর কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম । এবং এটা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং উন্মুক্ত । আপনার যদি অনলাইনে ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভোলোপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে এবং আপনার যদি কোডিং সর্ম্পকে ধারণা কম থাকে অথবা কোডিংকে ভয় পান তাহলে শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন শিখেই শুরু করতে পারেন । কারণ বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেসের প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । ওয়ার্ডপ্রেসের অনেকগুলো ছোট ছোট কাজ আছে যেগুলো আপনি সহজেই শিখে নিতে পারেন । আর যদি কাজগুলো একটু ভালভাবে আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য উপযুক্ত হয়ে গেলেন । তারপর মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন মোটামুটি ভাল একটা ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন ।
মার্কেটপ্লেসে এর চাহিদা কেমনঃ
Marketplace Demand:
আগেই বলে রাখি বিশ্বের প্রায় ৩৫% ওয়েবসাইট যা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি । তাহলে বুঝতেই পারছেন এটা কতটা জনপ্রিয় । আর যে জিনিস যত বেশি জনপ্রিয় সেই জিনিসের প্রতি মানুষের চাহিদাও তত বেশি থাকে । ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটা ওয়েবসাইট করতে যত খরচ হয় অন্য টেকনোলজি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট করতে তার তুলনায় সর্বনিম্ন ২ থেকে ৩ গুন বেশি খরচ হয় । এত কম খরচের কারণে বেশিরভাগ ক্লাইন্ট চায় তাদের সাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করতে ।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য
- সফটওয়্যারটি ওপেনসোর্স এবং বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।
- ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কোনো প্রকার পিএইচপি এবং এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।
- প্লাগইন যা ইনস্টল করে ওয়েবসাইটকে আরো সয়ংক্রিয় করে তোলা যায়।
- ব্লগ পোস্ট ও স্ট্যাটিক পৃষ্ঠা সুবিধা।
- সমবায়িত ব্লগিং সুবিধা (community blog)।
- এছাড়াও বিনামূল্যে থিম, প্লাগইন্স পাওয়া যায়।
- কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) হবার ফলে যেকোন তথ্য সহজেই পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা যায়। অর্থাৎ আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার বান্ধব এবং ব্যবহার প্রণালী খুবই সহজ, সার্চ ইঞ্জিন অফটিমাইজেশেন পদ্ধতি ব্যবহার ইত্যাদি।
- সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব।
এর ভবিষ্যৎ কি?
ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ আমার মতে উজ্জ্বল। কারণ গুলোও সুস্পষ্ট, প্রথমত, ধীরে ধীরে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার থেকে একজন ডিজাইনার হবেন কারণ আপনি এইচটিএমএল, সিএসএস শিখবেন। এরপর যখন আপনি পিএইচপি এবং মাইসিকুয়েল শিখবেন নিজেকে ওয়েব ডিজাইনার থেকে ওয়েব ডেভেলপার এর দিকে নিয়ে যাবেন। তার মানে কি দাঁড়াল? আপনি শুরু করলেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে, হয়ে গেলেন ওয়েব ডেভেলপার। আর একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপার চাহিদা বা মূল্য যাই বলি না কেন, অনেক বেশি। দ্বিতীয়ত, আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ব্যবহার করে ব্লগিং করে অর্থ ও উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে সব থেকে আলোচিত বিষয় ফ্রীলান্সিং। ফ্রীলান্সিং মার্কেট গুলোতে একজন ভাল মানের ওয়েব ডেভেলপারের কদর বেশ। আপনি খুব সহজেই ভাল মানের ফ্রীলান্সার হিসেবে নিজেকে একটি জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। তৃতীয়ত, আপনি যদি কোন আইটি ফার্ম খুলতে চান, তাহলে আপনাকে মেন্টালি সাহায্য করবে, এক জন ডেভেলপার হিসেবে। এর বাহিরেও আর ও অনেক বিষয় আছে যা আমি এখানে আলোচনা করতে চাইছি না। এক কোথায় বলা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস এর ভবিষ্যৎ সব থেকে পরিষ্কার এবং সম্ভাবনাময়।